মানুষের চিরন্তন নেশা বিশ্বকে জয় | তাই প্রতিনিয়ত মানুষ একের পর এক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে | মানব ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাফল্য ধরা হয় চাঁদে মানুষের অবতরণ | কিন্তু এই চাঁদে অবতরণ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতবিরোধ রয়েছে | সত্যিই কি নাসা পেরেছিল চাঁদে অবতরণ করতে ? নাকি এটা কোন ধাপ্পাবাজি ছিল ? চাঁদে অবতরণ নিয়ে ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে | যেখানে তারা প্রমাণ করতে চেয়েছে, চাঁদে অবতরণ একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ঘটনা | এটা মানুষকে ধোকা দেয়ার জন্য নাসার কোন পরিকল্পনা বলে অনেক মানুষ বিশ্বাস করেন | আজকের এই পোস্টটিতে আমরা এমন কিছু প্রমাণ সামনে নিয়ে আসব যার মাধ্যমে বোঝা যাবে যে চাঁদে অবতরণএকটি সত্য ঘটনা, কোন ধাপ্পাবাজি নয় |
প্রথম
বিষয় চাঁদে আমেরিকার পতাকা কিভাবে উড়ছে ? ছোট
বাচ্চারাও জানে চাঁদে কোন বায়ুমণ্ডল নেই সুতরাং নাসা বিষয়টি খুব ভালোভাবেই জানে
| তাই নাসার অ্যাস্ট্রোনট না ব্যবহার করেছিল
অ্যালুমিনিয়ামের তার | আর পতাকাটি
একটি টিউব এর ভিতরে ছিল তাই পতাকাটিতে ভাঁজ পড়েছিল এবং পতাকাটি নড়ছিল কারণ চাঁদের
বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মত নয় | তাই এর নড়াচড়া বন্ধ করতে পতাকাটিকে টেনে
সোজা এবং স্থির করা হয়েছিল |
পরবর্তী
বিষয় চাঁদ থেকে কেন কোন তারা কে দেখা যায়নি ? এটা খুবই সাধারণ একটি বিষয় , কিন্তু
অনেকেই সাধারণ বিষয়টিকে অনেক বড় ও জটিল করে তোলে এটা বোঝানোর জন্য যে চাঁদে অবতরণ
একটি মিথ্যা ঘটনা | কিন্তু মূল বিষয়টা এমন যে আমরা দিনের বেলা পৃথিবী থেকে আকাশে কোন
তারা দেখতে পায় না তেমন নাসার অ্যাস্ট্রোনট ও যখন চাঁদে অবতরণ করেছিল তখন চাঁদে ও
দিন ছিল | সেই কারণেই চাঁদ থেকে কোন তারা দেখা
যায়নি | এছাড়াও চাঁদের বুকে সূর্যের আলো এতটা তীব্র ছিল যে তারার চমক সূর্যের আরো
কাছে অতি নগন্য ছিল | এবং সেই সময়কার ক্যামেরার রেজুলেশন তেমন ভালো ছিল না, তাই চাঁদ
থেকে কোন তারা দেখা যায়নি |
তৃতীয়ত,
নাসার মুন লান্ডিং এর ভিডিও টি যদি আমরা 2X স্পিডে পেলে দেখি তাহলে আমরা দেখতে পারবো
আমরা পৃথিবীতে যেভাবে চলাফেরা করি ঠিক সেভাবেই চলবে কিন্তু নাসা আমাদেরকে বোকা বানানোর
চেষ্টা করছে তাই তারা ভিডিও
স্লো করে দেখিয়েছে এবং এখানে অ্যাস্ট্রোনট্রা যেভাবে লাফালাফি করছে তা দেখে মনে হবে
ভিডিওটি পৃথিবীর কোথাও শুট করা হয়েছে | কিন্তু বিষয়টি এমনটি মোটেও নয়, মূল বিষয়
হলো অনেকে চাঁদে অবতরণ কে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য চাঁদে অবতরণ এর মত ভিডিও পৃথিবীতেও
তৈরি করে | কিন্তু এটা নাসার ভিডিও কে সম্পূর্ণ নকল করতে পারেনি | অনেকে বলছে নাসা
চাঁদে অবতরণের ভিডিওটি পৃথিবীতে সুট করার সময় সুতা ও তারের ব্যবহার করেছিল, তাই নভোচারীদের
মাথার ওপরে অনেক সময় রিফ্লেকশন দেখা যাচ্ছিল কিন্তু বিষয়টি ছিল মূলত নভোচারীদের পিছনের
ব্যাগ এর উপর একটি মেটাল অংশ ছিল | যখনই সূর্যের আলো গিয়ে ওই মেটাল পার্ট এর উপরে
গিয়ে পড়ছিল তখন সূর্যের আলোর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছিল |
আমাদের
চতুর্থ আলোচিত বিষয়টি হল ছায়া | ইংরেজিতে যাকে বলা হয় Shadow | চাঁদ থেকে তোলা কিছু
কিছু ছবিতে দেখা যায় কিছু ছায়া এইদিকে আবার কিছু ছায়া অন্যদিকে | যার ফলে মনে হয়
একাধিক লাইট ব্যবহারের কারণে এটি হয়েছে এবং ওই ভিডিওগুলো স্টুডিওতে শুট করা হয়েছে
| কারণ চাঁদে আলোর উৎস শুধুমাত্র সূর্য সুতরাং তাদের সকল বস্তুর ছায়া একদিকে হওয়ার
কথা | কিন্তু ছায়া তখনই একদিকে হবে যখন সারফেস সমতল হবে | কিন্তু চাঁদের সারফেস সমতল
নয় | তাই ছায়া চাঁদের সারফেস অনুযায়ী আকার নিয়ে নেয় | বাস্তব উদাহরন আমাদের সিঁড়ি
|
আবার
ছাদে যেহেতু একটি স্পেস ক্রাফট ল্যান্ডিং করেছিল, সেহেতু সেখানে কোনো না কোনো ছাপ পড়বেই
| কিন্তু চাঁদে মহাকাশযান অবতরণের সময় সেখানকার সব ধুলাবালি উড়ে গিয়ে শুধুমাত্র
মাটিতে পরিণত হয় | তাই কোন মহাকাশযানের ছাপ নেই | ছাদে যেই পায়ের ছাপগুলো আছে সেগুলোর
শুধুমাত্র নভোচারীদের এবং
এই পায়ের ছাপগুলো বহুকাল ধরে থাকবে | কারণ চাঁদে কোন ধুলাবালি নেই, তাই পায়ের ছাপগুলো
মাটি বা ধুলা নিচে চাপা পড়ে যাবে না |
ষষ্ঠ
প্রমাণে রয়েছে Cলক | এই ধরনের বস্তু বা সাংকেতিক চিহ্ন ছবির শুটিংয়ের সময় ব্যবহার
করা হয়ে থাকে | কিন্তু নিচের এই ফটোগুলো নাসার নভোচারীরা তুলেছিল | তারা বোকা নয়
যে এগুলো তুলে নিয়ে আসবে এবং মানুষের সামনে দেখাবে | নভোচারীরা মূলত চাঁদে অবতরণের
প্রমাণ হিসেবে এই ছবিগুলো দিয়েছে |
এছাড়াও
চাঁদ থেকে অনেক মাটি এবং পাথর নিয়ে আসা হয়েছিল | নভোচারীরা এগুলো নিয়ে এসেছিল এটা
জানার জন্য যে, পৃথিবী এবং চাঁদের মাটির ভিতরে কতটুকু পার্থক্য | যখন এ মাটি গুলো নিয়ে
পরীক্ষা করা হয় তখন জানা যায় যে, আমাদের পৃথিবীর মাটিতে এ ধরনের পদার্থের কোন অস্তিত্ব
নেই |
সুতরাং
আমরা এতগুলো প্রমাণের সাপেক্ষে বলতে পারি যে, নাসার নভোচারীরা সত্যিই চাঁদে অবতরণ করেছিল
| এটা কোনো মিথ্যা ঘটনা নয় | কিছু মানুষ ও প্রতিষ্ঠান এই ঘটনাকে মিথ্যা প্রমাণ করার
জন্য নানাভাবে অপচেষ্টা চালাচ্ছে | কিন্তু চাঁদে সত্যিই মানুষের অবতরণ ঘটেছিল এবং চাঁদে
অবতরণ মানুষের একটি অভাবনীয় সাফল্য | যারা চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করেছিল এবং এই যাত্রাকে
সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য যে মানুষ এবং প্রতিষ্ঠানগুলো সাহায্য করেছিল তাদের সবাইকে
জানাই অভিনন্দন | চাঁদে অবতরণ পরবর্তীতে মানুষকে অনেক আশা যুগ যুগিয়েছে যার ফলে পরবর্তীতে
আরো অনেক মহাকাশ অভিযান সম্ভবপর হয়েছে | মানুষের প্রথম যাত্রায় চাঁদে সফলভাবে অবতরণ
যুগ যুগ ধরে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে |
এই
সত্য এই সত্যটি সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক তাই
এই পোষ্টটি সবার মাঝে
ছড়িয়ে পড়ুক তাই এই পোষ্টটি
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করবেন | ধন্যবাদ |
No comments:
Post a Comment